বন্দর(নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ কামাল হোসেনকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, কামাল হোসেন একজন জনপ্রিয় ও সৎ জনপ্রতিনিধি। তাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বিনা অপরাধে জড়িয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কামাল হোসেন বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীকধারী প্রার্থীর বিপক্ষে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। ফলে তখন থেকেই তিনি কিছু মহলের বিরাগভাজন হয়ে পড়েন বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন।
বিগত রাতে (৫ আগস্ট দিবাগত) রাত ২টা ৩০ মিনিটে বন্দর থানা পুলিশ তাকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে, অথচ তার বিরুদ্ধে কোনো ওয়ারেন্ট ছিল না বলে পরিবার ও স্থানীয় সূত্রের দাবি।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, “ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ কামাল হোসেনকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় বন্দর থানায় দায়েরকৃত মামলা নং ০৩, তারিখ ০১/০৯/২০২৫, ধারা: ১৪৩/৩০৭/৩২৩/৩২৫/৩২৬ পেনাল কোড ও ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক উপাদানাবলী আইনের ৩ ধারায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ৬ আগস্ট তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদনসহ আদালতে হাজির করা হয়েছে।”
একজন নির্বাচিত চেয়ারম্যানের এভাবে গ্রেপ্তার ও রিমান্ডে নেয়ার ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে—”এটাই কি নতুন সরকারের ‘নতুন স্বাধীনতা’র নমুনা?”।
স্থানীয় এক প্রবীণ নাগরিক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “জনপ্রতিনিধিও যদি পুলিশের হাত থেকে রেহাই না পান, তাহলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়?”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় দেশের হাজারো শিক্ষার্থী রাজপথে রক্ত দিয়েছেন, প্রাণ দিয়েছেন গণতন্ত্রের আশায়। কিন্তু আজ একজন সৎ ও জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধি যদি বিনা দোষে গ্রেপ্তার হন, তাহলে এ স্বাধীনতা কার?
এ ঘটনার পেছনে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বা ষড়যন্ত্র রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখার দাবি জানিয়েছে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং সুশীল সমাজ। অনেকেই মনে করছেন, নতুন সরকারের দমনমূলক আচরণ পুরনো কায়দারই পুনরাবৃত্তি।