
মোঃ মোক্তার হোসাইন সোনারগাঁ(নারায়ণগঞ্জ)
নারায়ণগঞ্জ জেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সোনারগাঁও জি.আর ইনস্টিটিউশন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ২০০৫ সালের এসএসসি ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদযাপন করলেন তাদের ২০ বছর পূর্তি।
“এসো সবে প্রাণের টানে, এসো সবাই প্রতিভার প্রাঙ্গণে”— এই স্লোগানকে ধারণ করে শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সারাদিনব্যাপী উৎসব অনুষ্ঠিত হয় তারাবো পৌরসভার বসন্ত বিলাস রিসোর্টে। আয়োজনটির নেতৃত্বে ছিলেন “সোনারগাঁও জি.আর ব্যাচ–২০০৫” সংগঠনের সদস্যরা।
দিনের শুরুতে সকাল ৮টায় সোনারগাঁও জি.আর ইনস্টিটিউশন স্কুল অ্যান্ড কলেজ গেট থেকে যাত্রা শুরু হয়। প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মাঝে টি-শার্ট বিতরণ ও কুপন বিক্রয়ের মধ্য দিয়ে উৎসবের সূচনা হয়। কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে উদ্বোধনী পর্ব সম্পন্ন হয়।
রিসোর্টে পৌঁছে সকালের নাস্তা শেষে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা অংশ নেন প্রীতি ফুটবল ম্যাচে। মাঠে খেলার সময় হাসি, উল্লাস ও নস্টালজিয়ায় ভরে ওঠে চারপাশ। কেউ কেউ আহত হলেও মনোবল হারাননি— সবাই যেন ফিরে যান ছাত্রজীবনের দিনগুলোয়। পরে সবাই মেতে ওঠেন সুইমিং পুলে, যা উৎসবে নিয়ে আসে নতুন মাত্রা।
শিক্ষার্থীদের সন্তানদের নিয়ে বল নিক্ষেপ প্রতিযোগিতা, মেয়েদের বালিশ কার হাতে খেলা, ও নানা বিনোদনমূলক ইভেন্টে জমে ওঠে পুরো আয়োজন। দুপুরে মধ্যাহ্নভোজ ও জুমার বিরতির পর বিকেলে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও র্যাফেল ড্র।
আয়োজকরা বলেন,
“এই বন্ধুত্ব আর মিলনমেলা আমাদের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের একসূত্রে বেঁধে রাখে। শিক্ষাজীবনের স্মৃতি আজও আমাদের অনুপ্রেরণা দেয়। আমরা শুধু প্রাক্তন ছাত্র নই, সমাজ পরিবর্তনের অংশীদারও।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন — আল মাহামুদ সানি, আমিরুল ইসলাম সজীব, সিফাতুল ইসলাম সিফাত, কাউসার আল মামুন রাজু, নূর মোহাম্মদ রুবেল, সাদেকুর রহমান সাদেক, হাসান মেহেদী, শাহিন কবির, মাহাবুবুর রহমান তমাল, আজহারুল ইসলাম রনি, তানিয়া মৌসুমী শোভা, ফারজানা রিনা, নজরুল ইসলাম, ফয়সাল আহমেদ, শাহআলী, রিপন আহমেদ আশিক, সাইদুর রহমান, শরীফ হোসেন, মোহাম্মদ রাসেল, মাজহারুল ইসলাম রোকনসহ আরও অনেকে।
এছাড়াও প্রবাসে অবস্থানরত অনেক প্রাক্তন শিক্ষার্থী ভিডিও কলে ভার্চুয়ালি অংশ নেন।
উল্লেখ্য, “সোনারগাঁও জি.আর ব্যাচ–২০০৫” একটি অরাজনৈতিক ও অলাভজনক সামাজিক সংগঠন, যা ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই সংগঠনটি সোনারগাঁও অঞ্চলে সমাজকল্যাণ ও মানবিক কর্মকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।